সপ্তর্ষি নাগ
কবিগুরু ছিলেন, আছেন, থাকবেন ও | সৌরভ ও বেঁচে আছেন | তার বাইরে বিদ্যাসাগর, রামমোহন, সত্যজিৎ, বিভূতি,কিশোর, ঋত্বিক, লীলা,তারাশঙ্কর,নবনীতা,অমর্ত্য, মানিক, সুকান্ত, অমর বোস, অভিজিৎ বন্দ্যো, সুনীল এই মানুষগুলোকে নিয়েও আদিখ্যেতা করলে বাঙালিয়ানা বাঁচবে বৈ মরবে না |
কিন্তু, ইহা বাঙালি জাতি, সম্মান ঘুচাইলেও হাস্যস্পদ হইবার একটি ও সুযোগ হাতছাড়া করিবে না |
বৃথা আশা মরিতে মরিতেও জাগ্রত হয়, সামনের প্রজন্মের কথা ভাবিয়া | কিন্তু ইহা যে পশ্চাৎপ্রান্তের হাড়বিহীন স্থূলমস্তিকের জাতি | পুরানো সেই দিনের কথা দুই ছত্র গাহিয়াই ভাবিবে বিশ্বব্রহ্মান্ড উল্টাইয়া দিলাম | মরুক সামনের প্রজন্ম!
বুদ্ধিমত্তার আজকাল বড় অভাব হে ফেলু! পি. সি মিটারের দাম তো পড়তির দিকে হে! ব্যোমকেশ আজ পরিচালকের গল্পহীনতার আশ্রয় | টাঁড়বারো বা বুনিপ এই প্রজন্মের কাছে হাহাহা রিঅ্যাকশন মাত্র | বিভূতি উল্টায় মন্দিরের বাইরে রাস্তায় | মানিক মেলে আঁতেলের নগ্নক্তার রিক্ত বৈভবে | ঋত্বিক থাকে সাধারণ বাঙালির হঠাৎ সৃষ্টিশীলতার লোক দেখানো বাসনায় শেয়ার করা বাঙালিয়ানায় সুড়সুড়ি দেওয়া না বোঝা পোস্টে |
বাংলা না পড়ে শুধু ওয়েবসিরিজ দেখা নিম্নমেধার চটকদারি বাঙালিয়ানা এর বেশি আর কি সত্য দেখাবে? বাংলা তাই ডারেন গফ, আলেক্স টুডর সমৃদ্ধ বোলিং বিনাশী ন্যাটওয়েস্ট জয়ের ফেসবুক উল্লাসেই বিশ বছর পরেও মগ্ন আজও | শুকতারা, আনন্দমেলা, কিশোরভারতী পড়া আজ তাই স্টেটাস | বাংলা ভাষা বছরের একটা দিনে ‘আহা মরি বাংলা ভাষা ‘ বা দোলের দিনে ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো দোল ও খেলবো গালের এককোণে রঙ দিয়ে,রূপ আর পিঠের চটক ও দেখাবো ধরণের পোস্টের পর্যায়ে অবনমিত |
ধন্য গুরুচণ্ডালি! অকুতোভয় আজকাল কুত্তারে ভয় না পাইবার সম্মক! শরদিন্দুর জেনারেল ন্যাপলা বলেছিল না কথাখানা? ধুস, শরদিন্দু মানে তো খালি ব্যোমকেশ | মানে অরিন্দমের! আর কিছু লিখেছিলো নাকি?
আমি বাংলায় কথা কই, আমি সাধু আর চলিত মিশাইয়া ভাষার পিন্ডি চটকাই |
মোদের গরব মোদের আশা, চলো শেষ করি বাংলা ভাষা