করোনার পজিটিভ শিক্ষা- SHIBAM CHOWDHURY

বসে থাকাটা এখন কাজ হয়ে গিয়েছে বর্তমানে, চারিদিকে যা পরিস্থিতি আমরা এক কথায় থরহরি কম্প এই করোনার দাপটে। মৃত্যু এমনই এক জিনিস যেখানে আমাদের দর্শনশাস্ত্র হার মেনে যায়।
বর্তমানে এই মহামারিতে আমাদের মনে হয়েছে মহামারীর মহামারীর পূর্ব লগ্নে বা পরবর্তীতে আমাদের কোন সমস্যা ছিল না না জীবনটা এখন পেন্ডুলামের মত দোদুল্যমান অবস্থায় নেই   একেবারে জড়পদার্থের ন্যায় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গভীর ভাবে দেখলে জীবন বা সময় কোনটাই থামেনি তারা নিজের তারা নিজের থামেনি তারা নিজের তারা নিজের কোনটাই থামেনি তারা নিজের তারা নিজের থামেনি তারা নিজের তারা নিজের স্রোতে বয়ে চলেছে। প্রকৃতি তার নিজের খেয়ালে চলছে। কিন্তু আমরা সকলেই একেবারে নিশ্চিত যে এই পরিস্থিতি কোন দিন চিরস্থায়ী নয় বা কখনোই কোনো পরিস্থিতি চিরস্থায়ী হবে না না প্রকৃতির নিয়মে তাকালে চাকার মতো বদলাবেই। ইতিহাস সাক্ষী আছে করোনার আগেও এমন মহামারী এসেছে যেখানে বুলডোজারে করেও করেও এসেছে যেখানে বুলডোজারে করেও মানুষের মৃতদেহ লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়া  হয়েছে। কিন্তু আমাদের শারীরিক ও মানসিক চিন্তা যখন ক্ষুদ্র হয়ে যায় হয়ে যায় পাশাপাশি ভাবে বৈপরীত্য উত্তাপ এর মত সমস্যা নামক তিন অক্ষরের শব্দটি আমাদের কাছে কত বড় হয়ে যায়। কিন্তু আজকে এই করোনা কে যারা নিয়ে চলতে চাই যারা নিয়ে চলতে চাই জীবনসঙ্গী করতে চাই সেই সমস্ত মানুষ বা এই সমস্ত মানসিকতা কথা আজ আলোচনা করব। আমরা যেটা জীবনে কোনদিন সম্মুখীন হয়নি সেটা নিয়ে আমরা বেশি ভীতু এক্ষেত্রে পরীক্ষার উদাহরণটা মন্দ হবে না না। কিন্তু যদি থ্রি ইডিয়টস’-এর রঞ্ছোরদাস এর কথা বলি যে  পরীক্ষাকে উপভোগ করতে চেয়েছে তার কাছে তো সেটা কোন বোঝা নয় কাছে তো সেটা কোন বোঝা নয়। কিন্তু আমরা মানুষ জাত নিজের জুম করে সেলফি নিতে অভ্যস্ত নয় যদি মুখের পিম্পলস গুলো স্বচক্ষে চলে আসে? তাই আমাদের হাতিয়ার সেই ফেস বিউটি অ্যাপ অ্যাপ বিউটি অ্যাপ অ্যাপ অর্থাৎ আমরা জীবনকে একটু এডিট করে বেশি পছন্দ করি দেখতে। তা এই এডিটে হয়তো করোনা বাধা বাধা সৃষ্টি করছে, সেজন্যই হয়তো মনুষ্যজাতির মনুষ্যজাতির সমস্যা।

এই করোনা আমাদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে যা করার করে নে,  পুলিশ প্রটেকশন, হসপিটাল, মন্দির সব বন্ধ বন্ধ, মোমবাতি জালানো, থালা বাজানো, মানুষের ট্রল করা সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রকৃতি ব্যালেন্স করছে করছে, যখনই আমার সত্ত্বাটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তখনই আমরা ডিপ্রেস হয়ে পড়ি পড়ি। এই করোনা আমাদের ডিপ্রেস করে কোথাও যেন নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাইছে, যদি আমরা সেটিকে আপন করে নিতে পারি তাহলে করো না আমাদের কাছে ভয়ের  নয়। মানুষ হয়তো ভেবে ফেলেছিল এই প্রকৃতিতে সমস্ত কিছুই কিছুই সমস্ত কিছুই কিছুই প্রকৃতিতে সমস্ত কিছুই কিছুই সমস্ত কিছুই কিছুই এই প্রকৃতিতে সমস্ত কিছুই কিছুই সমস্ত কিছুই কিছুই প্রকৃতিতে সমস্ত কিছুই কিছুই কিছুই আমার জন্য সমস্ত এই অর্থে সবকিছুই আমার ভগ্য বা আমার জন্য আমার জন্য কিন্তু করোনা প্রকৃতি আমাদের এই ভাবনাটাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছে এই  প্রকৃতি শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয় এখানে সমস্ত কিছুর সমান অধিকার রয়েছে।

একটা বাঘ যখন তার সন্তানকে চাটে এবং  একটা শিকারিকে চাটে দুটির মধ্যে   আলাদা  অনুভূতি থাকে এবং আমরা মানুষরা ঠিক তাই নিজের সন্তানকে  একভাবে দেখি  এবং পাশের বাড়ির বা পাড়ার ছেলের সমবয়সী ছেলেটা একটু আলাদাভাবে দেখি দেখি আলাদাভাবে দেখি দেখি তাহলে আমাদের আর পশুর মধ্যে পার্থক্য কি রইল কিন্তু ওড়না ঠিক ঠিক এই জায়গাতেই মানুষকে ভাবতে শিখিয়েছে আজকে মানুষ নিজের থেকে মানুষ নিজের থেকে পার্শ্ববর্তী বা নিজের পাড়া কে নিয়ে বেশি নিয়ে বেশি ভাবছে।
আমার পাড়ায় কাউরির করোনা হলো না তো না তো? সে জন্য বারবার খবরের কথাটা টিভি চ্যানেল টা দেখছে সুতরাং নিজের থেকে এখন পার্শ্ববর্তী পরিবার সে অবস্থাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

আগে ভারতে দৈনন্দিন মৃত্যুর হার এর সর্ব শ্রেষ্ঠ সর্ব শ্রেষ্ঠ এর সর্ব শ্রেষ্ঠ হার এর সর্ব শ্রেষ্ঠ সর্ব শ্রেষ্ঠ এর সর্ব শ্রেষ্ঠ সর্ব শ্রেষ্ঠ তালিকায় ছিল এক্সিডেন্ট এবং তখনও রোজ পেপারে পাতায় এই সমস্ত অ্যাক্সিডেন্টের খবর থাকতো কিন্তু আমাদের চোখ সেখানে ভুলেও যেত না কিন্তু আজ যখন এ করোনায় রাজ্যে কতজন আমার এলাকায় কতজন দেশে কতজন মানুষ মারা গিয়েছে বা আক্রান্ত হয়েছে আমাদের সমস্ত টা হাতের তালুর মতো নজরবন্দি অর্থাৎ এই করো না আমাদের পরি পার্শিক অবস্থা সম্বন্ধে নিজের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে অপরের জন্য ভাবতে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে অপরের জন্য থেকে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে অপরের জন্য ভাবতে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে থেকে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে অপরের জন্য ভাবতে বেরিয়ে অপরের জন্য ভাবতে অপরের জন্য ভাবতে সাহায্য করেছে।

করোনা হলেও সেই মা যে ছেলেকে জোর করে নিমপাতা খাওয়ায়, করোনা হল সেই বাবা যে ছেলেকে সেই বাবা যে ছেলেকে জোর করে পড়তে বসায়, অর্থাৎ করোনা এই পৃথিবী কে কে এই পৃথিবী কে কে একটা সুন্দর রূপ দিতে চাইছে এবং এর জন্য যা যা কিছু বাদ দেওয়া দরকার সেই সমস্ত আবর্জনাকে করোনা নিমেষে বাদ দিচ্ছে।

আমরা চিন্তা করতে অনভ্যাস্ত, কিন্তু করোনা আমাদের নিজের সম্পর্কে যাবতীয় চিন্তা করতে চ্যালেঞ্জ করছে, ইঁদুর দৌড়ে আমরা সর্বদা ছুটছিলাম না বুঝেই , এবং কেউ যদি তা না করে তাহলে তারা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছুটছে কিন্তু করোনা সেখানে আমাদের পিলার হয়ে দাঁড়িয়েছে,জগতের সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য মানুষ কি কি কি নতুন চশমা পড়িয়েছে।

অজুহাত প্রিয় ব্যক্তিদের সামনে করো না না চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, এখন কিভাবে তোরা অজুহাত দিবি?

যারা  যারা সম্পর্ককে সময় দিতে পারত না বাবা-মা কে সময় দিতে পারত না সন্তানকে সময় দিতে পারত না ,করোনা আজ সেই সকলকে সময় দিতে বাধ্য করেছে বাইরের মানুষ টির জন্য  সমান ভাবে ভাবতে ভাবতে শিখিয়েছে যেমন আজ বাইরে কতজন আক্রান্ত হল ।

যে সমস্ত মানুষ শিক্ষার থেকে রেজাল্ট কে বেশি প্রাধান্য দিতে করোনা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করছে, আজকে মহামারী সময় শেখার কোন ব্যাঘাত ঘটে নি নি কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে আমরা সঠিক পর্যাপ্ত পরিমাণে শিখতে পারছি। শিক্ষার ফলাফল শুধুমাত্র জানা হবে করোনা এটা শিখিয়েছে, পকেট ভর্তি করতে আমি তোমায় দেবো না।

এই দূষণের সময় করোনা আমাদের শুদ্ধ বাতাসে প্রয়োজনীয়তা হারে হারে অনুভব করিয়েছেকরিয়েছে।

করোনা আমাদের শিখিয়েছেন তোমার জন্য টেকনোলজি ,তুমি টেকনোলজির জন্য নয়।

করোনা বিলাসিতা কে কে চ্যালেঞ্জ করেছে, অভ্যন্তরীণ গেছে অর্থাৎ অর্থাৎ কলকাতা থেকে আসাম যাওয়ার জন্য আমরা এরোপ্লেন ব্যবহার করতাম, করো না আজ সেই বিমান ব্যবস্থা এমনকি ট্রেন ও বন্ধ করে বন্ধ করে ট্রেন ও বন্ধ করে বন্ধ করে দিয়েছে, তুমি মানুষ এই বিলাসিতা ছাড়াও বাঁচতে পারো বাঁচতে পারো এটা অনুভব করিয়েছে। মানুষের অবস্থান শুধু টাকা
কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছিল, করোনা তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

কত মিনিমাম এ তুমি তোমার তুমি তোমার এ তুমি তোমার তুমি তোমার নিজের জীবনকে চালাতে পারো করোনা সেটা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিখাচ্ছে।

মনুষ্য জাতি যে সমস্ত শ্রেণীকে সর্বদা শ্রেণীকে সর্বদা সর্বদা শোষণ করেছি এই করোনা আবহে প্রত্যেকে তারা ভালো আছে যেমন গাছেরা ভালো আছে সমস্ত পাখিরা ভালো আছে সমস্ত পাখিরা ভালো আছে মাছেরা ভালবাসে এবং কত কিছু কিছু কত কিছু কিছু, আমরা এই পশুপাখিদের খাঁচায় আবদ্ধ করে রাখতাম কিন্তু প্রকৃতির হায় নিয়ম আজকে  তাদের কাউরির করোনা হচ্ছে না না হচ্ছে না হচ্ছে না ,মুক্তমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ,  আমরা এক অদৃশ্য জলে বন্দি।

ধনী-দরিদ্র একই সরলরেখায় নিয়ে এসেছে, টাকাকে অর্থহীন করে দিয়েছে করোনা করোনা, ধনীদের ঘরে আজ বেশী করোনার প্রকোপ।

করোনা কোথায় জীবন ও, যারা হার্টের পেসেন্ট তাদের হার্টের রোগ কমে গিয়েছে কমে গিয়েছে গিয়েছে তাদের হার্টের রোগ কমে গিয়েছে কমে গিয়েছে গিয়েছে তাদের হার্টের রোগ কমে গিয়েছে কমে গিয়েছে গিয়েছে হার্টের রোগ কমে গিয়েছে কমে গিয়েছে রোগ কমে গিয়েছে, যারা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন তারা সমস্যায় ভুগছিলেন তারা ভুগছিলেন তারা তারা আজ বেশ উন্নত কারণ অল্প দূষণের জন্য।

যে নিজেকে বদলাতে চায় না প্রকৃতি তার প্রকৃতি তার না প্রকৃতি তার প্রকৃতি তার মোক্ষম জবাব দিয়েছে কিন্তু যে প্রকৃতিকে আপন করে নিয়েছে পরিবর্তনকে সংঘ করে নিয়েছে করোনা তার তার কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছেদাঁড়িয়েছে।
মৃত্যু বেড়েছে বটে কিন্তু রোড এক্সিডেন্টে মরার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে করোনা করোনা কমিয়ে দিয়েছে করোনা।

হ্যাঁ কিছু তো মানুষ কষ্ট পেয়েছি যারা মানুষ কষ্ট পেয়েছি যারা দরিদ্র তারা কষ্ট পেয়েছে যারা ডাউনট্রোডেন, তারা তো কষ্ট পেয়েছে কষ্ট পেয়েছে ঠিক যেমন আমরা চাল যখন  বস্তায় ভরি তখন বাইরে অনেক চাল পরে, প্রকৃতি যখন মারে তখন ধনী-দরিদ্র কাউকে দেখে না না কাউকে দেখে না। এটাই প্রকৃতির মহত্ব ব্যালেন্স।

আমরা ভাবছি অর্থনীতি ধসে পড়ছে কিন্তু সেটি জীবনের একেবারে ক্ষীণ অংশ, আমাদের জীবনের কেন্দ্র অর্থ হয়ে পড়েছে।

করোনার টাকার অহংকার জড় বিদ্যার  অহংকারকে ভাঙছে, পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানী ফেল, করোনা সবাইকে একবার ইউটার্ন করে ভাবাতে শেখাচ্ছে।

করোনা বলল আজ আজ আমি সেলফি মোড এ নেব নেব তুই যা দিয়ে জগত দেখতে দেখতে আজকে তা দিয়ে সেলফি মুডে মুডে সেলফি মুডে মুডে নিজেকে দেখ একবার, দেখ তুই কোথায় আছিস, তুই যা করেছিস ঠিক না ভুল করেছিস, সেই ফল তুই পাচ্ছিস। করোনায় চেঞ্জ এনেছে কিন্তু আমরা এই চেঞ্জ কে ভয় পায় আমরা নিজের মুখ দেখতে চাই না সর্বদা বাইরের রূপ দেখতে চায় নিজের মুখ কতটা করুন সেটা দেখতে আমরা ভয় পায়।

করোনার নেগেটিভে থেকে পজিটিভ দিক অনেক বেশি ,কিছুক্ষণের জন্য আমাদের জীবনের ঘড়িগুলো কে থামিয়ে দিয়েছে।

করুণা বাধ্য করেছে মানুষকে নতুন কিছু ক্রিয়েটিভিটি সৃষ্টি করতে না হলে হলে দেখুন আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিন এর মধ্যে আবদ্ধ থাকতেন।

প্রকৃতি আমার মা, সেই মা যেমন আমাদের মারে, শাসন করে ঠিক তেমনভাবে অন্তরে তার থেকেও বেশি ভালোবাসে যত্ন করে । প্রকৃতি ও ঠিক তেমন ঠিক তেমন হয়তো শাসন করছে এর পরবর্তীতে আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো কিছু আদর অপেক্ষা করছে চলুন না দেখি সেই আদর কি হয় একটু ধৈর্য ধরুন একটু আশাবাদী হন।  একটু ভয় মুক্ত হন। করোনা বৃহতের সংযোজন, করোণা বিরাটের ভারসাম্য, করণা ডেস্ট্রাকশন নয় নয়।

News Reporter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *