বাংলা প্রতিবেদন লেখনী – সপ্তর্ষি নাগ

প্রশ্ন:                 বাংলা চলচ্চিত্রের অবক্ষয় নিয়ে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন লেখো।

উত্তর:                

বাংলা চলচ্চিত্রের সেকাল আর একাল

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক খ গ, জুলাই ৩১: বিশ্ববন্দিত চলচ্চিত্র পরিচালক মার্টিন স্করসেসে সত্যজিৎ রায়ের অপু ট্রিলজিকে তাঁর শিল্পীসত্ত্বার অন্যতম অনুঘটক তথা অনুপ্রেরণা বলেছিলেন। রায়কর্তার সৃষ্টিসুখে মজেছিলেন সেকালের কুরোসোয়া বা একালের নোলান। কপোলা থেকে স্পিলবার্গ কে নেই তাঁর অনুরাগীর তালিকায়? তাঁর হাত ধরে বাংলাছবি এসেছিল বিশ্বচলচ্চিত্র দরবারের পাদপ্রদীপের আলোয়। অস্কারের গৌরব সত্যজিৎ তথা বাংলা ছবিকে নিয়ে যায় এক অনন্য উচ্চতায়। তবে বাংলাছবির স্বর্ণযুগে ঋত্বিক ঘটক, মৃনাল সেন, তপন সিনহা কারই বা অবদান কম? একদিকে উত্তম -সুচিত্রা বা সৌমিত্র যেমন বাঙালিকে হলমুখো করেছেন তেমনি ভুবন সোম, অযান্ত্রিক বা অগ্নিশ্বর বিদগ্ধ বাঙালিকে দিয়েছে চিন্তার খোরাক। ঋষিকেশ মুখুজ্যের ছবিতে বাঙালি যেমন ফেলেছে তৃপ্তির শ্বাস আর অন্যদিকে ‘কোরাস’ ছবিতে সামাজিক বৈষম্য বাঙালিকে ফের বিদ্রোহী করেছে। সত্যজিৎ-মৃনালোত্তর বাংলা ছবি দিয়েছে গৌতম ঘোষ বা ঋতুপর্ণ নামক শিল্পীকে যারা ‘পার’, ‘অন্তর্জলি যাত্রা’ বা ‘উনিশে এপ্রিল’ দিয়ে চালু রেখেছিলেন স্বর্ণ যুগের মূর্ছনা।

কিন্তু তারপর? শুধুই শূন্যতা। চটুল নাচ-গান, মুম্বাই বা দক্ষিণী ছবির অন্ধ অনুকরণ স্বর্ণযুগের ইতিই শুধু টানেনি, গোটা বাঙালি জাতির সৃষ্টিশীলতাকেই বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে I একসময়কার হলপাগল বাঙালি মুখ ফিরিয়েছে সিনেমাঘর থেকেই। অশ্লীল গালিগালাজ, যৌনতার সুড়সুড়ি, অহেতুক মারদাঙ্গা কেবল পরিচালক বা চিত্রনাট্যর দুর্বলতাকেই নগ্ন করেনি, প্রকট করেছে রুচিশীলতা, মৌলিকতার অভাবকেও। আজ তপন সিনহা নেই। বাংলা ছবির বাঞ্ছারামের বাগান আজ তাই সৃষ্টির দৈন্যতায় নরক গুলজার। আজ মৃনাল সেন ও নেই। নীল আকাশের নিচে তাই রাজনীতির নগ্ন উদ্দামতা আর ফেলে আসা দিনের জন্য হা-হুতাশ। বাঙালি তাই আজ ওটিটি দেখে, বিশ্বচলচ্চিত্রের উর্দ্ধমুখিতা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

চিন্তার মৌলিকতা আর গতে বাঁধা ফর্মুলার বাইরে বেরিয়ে নতুন কিছুর প্রয়াস ছাড়া বাংলাছবির এই কলির দশা শেষ হওয়ার নয়। হয়তো বা কেউ আসবেন। নতুন কিছু ভাববেন। আবার বাঙালি ফিরে পাবে সেই কাশফুল আর ট্রেনের মতোই সিনেমার সংজ্ঞা আমূল বদলে দেওয়া কোনো ছবি। আশা করতে ক্ষতি কি?

এরকমই লেখা হাতে ধরে শেখাতে আনছি আমার সবচেয়ে প্ৰিয় Academic Project – Eklavya Descriptive Bangla-English Batch. The batch is starting from the 5th September. Read the article below to know the details.

News Reporter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *