ডাঃ সায়ন পাল
গরম ভাত, মুগ ডাল, আলু ভাজা, রুই মাছের কালিয়া অথবা বাঙালি মুরগির ঝোল –না কলকাতা বিমানবন্দরে পাওয়া যায় না, বাগডোগরা বিমানবন্দর এ ও পাওয়া যায় না, কিন্তু ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাওয়া যায়। সেখানে সুবেশ পাইলট, আধুনিকা বিমান সেবিকা, সবাই কব্জি ডুবিয়ে ভাত ডাল মাছ ভাত খাচ্ছেন যা বাঙালির আদর্শ মধ্যাহ্নভোজ।
বাংলাদেশ একই ভারতীয় বিজ্ঞাপন বাংলা ভাষায় দেখানো হচ্ছে কোন বিকৃতি ছাড়া সঠিক বাক্য গঠন করে (বাংলা উচ্চারণে আঞ্চলিকতার ছোঁয়া থাকতে পারে কিন্তু হিন্দি অথবা ইংরেজি মেশানো বিকৃত উচ্চারণ নয়)
সমস্ত গাড়ির নম্বর প্লেট বাংলায় যেমন ঢাকা মেট্রো গ, সমস্ত দোকানের সাইনবোর্ড বাংলায়। সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলে বাংলা বললে সমাদর বেশি পাওয়া যায়, কেউ অশিক্ষিত ভাবে না, ঝাঁ চকচকে শপিংমলে অথবা রেস্তোরায় বাংলা ভাষায় কথা বলা সম্মানের, পাঁচতারা হোটেলের বুফে ব্রেকফাস্ট এ সুজির হালুয়া , বাঙালি পরোটা, লুচি, পায়েস , আলুর দম, ছোলার ডাল, মিষ্টি দই, রসগোল্লা, মাছ ভাজা, এসবের অফুরান সম্ভার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলায় হয়, বাংলা গান হয়। এপার বাংলায় বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের বলি একটা গোটা দেশ আছে, যে দেশের মানুষ তাদের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে পারে। যতদিন বাংলাদেশে আছে ততদিন বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য, বাংলা সংস্কৃতি, বাঙালি রান্না, পৃথিবীতে থাকবে সম্মানের সঙ্গে।
জয় বাংলা।