শারদীয়া ভোরে এসেছি আমি
দূর্গা মায়ের হাত ধরে —-
এই সবুজ প্রাঙ্গনে ,
তোমারই বাড়ির উঠানে।
আমিও সপরিবারে গমন করেছি ;
আমাকে স্বাগত জানাবে না ?
আসবে না বুঝি আমার বাগানে , আদর করবে না ?
একবারও কি দাঁড়াবে না আঙ্গিনায় , অঞ্জলি দিতে যাবার পথে ?
দুগ্ধ চন্দন ভরেছে আমার পাপড়ি
গেরুয়া ঘিরে মধ্য খানে — তৈরী হয়েছি আমি।
ছোট্ট একটি মিষ্টি কুসুম খিলখিলিয়ে হাসি।
ঝাঁকে ঝাঁকে ফুটে থাকি , শরৎ কালকে জাগিয়ে রাখি –
এই ভূমিতে ঠিক যেভাবে , পেঁজা মেঘ ভাসে শ্বেত আকাশে।
আমি কাশফুল হয়ে উড়তে পারি না বাতাসে
পারি না পৌঁছতে ঘরে ঘরে , টবে টবে ,
তবে সুন্দর হয়ে গাছ ভরে থাকি
সাজিয়ে রাখি সন্ধ্যাটাকে।
আঁধারে যেমন মিটমিটে তারারা
হীরের টুকরোর মতো ছিটিয়ে থাকে ,
ঠিক তেমনি উজ্জ্বল হয়ে
আমিও ফুটি নয়নতারা হয়ে।
না না আমি শিউলি ! নয়নতারা নই —
তোমার চোখে পরা ,শুধু আমার দায়িত্ত্ব নয় ,
সে তোমার নিষ্ঠা -আবেগ সৌন্দর্যের প্রতি —
হ্যাঁ ,আমি জানি যে আমি পদ্মর মতো সুন্দর নই ,
গোলাপের মতো তীব্র সুগন্ধীও নই ,
কাঁটা ধরতে পারি নি নিজের ডালে ,
উচ্চ আবেগ বিলাসীর সহমর্মী হতে হয়তো পারিনি।
কিন্তু আমার মিষ্টি হাসি ,
কিংবা কোমল বৃন্ত —
কি অবহেলিত করে রাখতে পারবে আমায়?
বাকি ফুল তো সবই নিত্য।
আমার ও নির্যাস পান করে
ভ্রমর ও ভ্রমরী ওই খেলে।
বালকের পায়ে পাপড়ি দলে
বালিকা কুড়ায় আলতো হাতে ।
মনোলোভা আমি , দীপান্বিতা ,
নিশাচর পরীর ফুলের শয্যা।
তবু সার্থক হলো আমার জীবন,
ধন্য হল দেহ ,
যখন মহাষ্টমী লগ্নে ,
রাঙা চরণে অর্পিত হলাম
দূর্গা মায়ের বন্দনায় ।
Shriya is a student of class IX in Holy Child School , Jalpaiguri and even at this tender age, she is an arsenal of talent. She is by far the youngest contributor of this page and we heartily congratulate her for such a wonderful feat. Wishing her every success in the days ahead. God bless you, Shriya. Keep enriching us with your creativity.