সপ্তর্ষি নাগ
কিছুদিন আগে ও বিরাট কন্যা ভামিকাকে আর তার মা মানে অভিনেত্রী অনুষ্কাকে গালিগালাজ করা একটা বেশ সংস্কৃতি ছিল। মানে বিরাট রান না পেলে খিস্তি দাও অনুষ্কাকে। উনি সেসব পাত্তা না দিলে বাপবাপান্ত করো বিরাটের মেয়ের । কি বিশাল কাজ! কি সংস্কৃতি! লোকটাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর বিশাল চক্রান্ত তখন। কারণ তো স্বাভাবিক। মানুষটা মাঠে নাচে। মানুষটা মেশিনের মতো রান করে।মানুষটা শামি খারাপ বল করলেও পিঠে হাত রাখে। মানুষটা এত এগিয়ে যে পিছিয়ে পড়া সভ্যতাকে নিমেষে আগে নিয়ে আসে। প্রাণখুলে খেলে। প্রাণখুলে মাঠে প্রতিপক্ষকে চোখ দেখায় । আবার সেই দলেরই উঠতি খেলোয়াড়কে হাতে ধরে শিখিয়ে দেয় ব্যাটিং এর টেকনিক। ক্যাচ মিস করলে গালিগালাজ করে শেষ করে দেয় আর একটা ভালো ইনিংস খেললে প্রেস কনফারেন্স এ এসে জাত ধর্ম ভুলে সেই প্লেয়ারটার প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়। এত আবেগ!
তাই নিমেষে তাঁর অধিনায়কত্ব চলে যায়। নিমেষে সুদিন বদলে যায় দুর্দিনে। গাঙ্গুলি গান আর গুলি চালায়। যদিও মাসকয়েক পরে পাপের সুবিচার ঠিক করেন উপরের একজন।গৌতম গম্ভীর বলেন ওর নাকি দলের জন্য খেলা উচিত নিজের কথা ভুলে। সত্য সেলুকাস! সেদিন হারিস রাউফকে ওই দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে মারা ছয়গুলো ছয় ছিল না তো, ওই খেয়ালি প্রতিভাধারির বয়ান ছিল, এটাই যে সোজা ব্যাট করেও সব সমালোচনাকে বাপি বাড়ি যা করা যায়। নিজে ঠিক থেকেও সমালোচনার জবাব দেওয়া যায়। সেজন্য ডালমিয়া বা শ্রীনিবাসন লাগে না। নেপোটিজমের দই তো ছোট্টবেলায় পিতৃহীন বিরাট কবেই মেরেছিল।
প্রতিভা বড্ড বড় জিনিস হি তোপসে, হোয়াটস্যাপএ সচরাচর মেলে না। দেশের কুলাঙ্গারগুলোর একবার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ভামিকা আর তার মা -র কাছে। ছোট্ট মেয়েটাকে গালি দেওয়া অমানুষগুলোকে আর কিছু না হোক সামাজিক বয়কট তো করা যায়। আর প্লিজ বিরাট কে এরপর কিছু বলার আগে মাঠে না হোক সিঁড়ির ঘরে অন্তত ছোঁড়া বলেও একবার ব্যাট ঘুরানো উচিৎ। নাহলে তো সবই দেখছি আরামকেদারার আস্ফালন।
দেশটা তোমাকে যোগ্য সম্মান দেয়নি বিরাট। বাঙালি হিসেবে আমি অন্তত ক্ষমাপ্রার্থী। তোমার রানে ভাসুক তিরঙ্গা। আর দেশের জয়ে হাততালি দিক ছোট্ট ভামিকা।জানিনা স্বপ্ন পূর্ণ হবে কিনা, কিন্তু বিশ্বকাপ এগারো বছর তোমার ছোঁয়া পায়নি। ক্রিকেটের ভগবান ও বোধহয় এবার কাপে তোমার স্পর্শের জন্য হাহুতাশ করছেন।
Outstanding*****